রাজশাহীর পুঠিয়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ১৩ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ওয়াসব্লক (বাথরুম), নির্মান কাজ গত ৬ মাস ধরে স্থবির হয়ে পড়ে আছে। যার নির্মাণ ব্যয় প্রায় ২ কোটি ৪৪ হাজার টাকা। কোথাও কোথাও আংশিক কাজ করে লাপাত্তা হয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি, রাজনৈতিক প্রভাব ও খামখেয়ালীপনা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার গাফলতিসহ নানা কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি। ফলে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় অভিভাবকদের মাঝে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও গাফিলতিতে নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে বাথরুমগুলো নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় শিশু শিক্ষার্থীরা অনেকটায় বাধ্য হয়ে খোলাস্থানে মলমূত্র ত্যাগের কাজগুলি করছেন।
জানা গেছে, ২০২১ সালে ৩টি কাজ ও ২০২৪ অর্থ বছরে উপজেলায় আরো ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য বাথরুম (ওয়াসব্লক) নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে বাশঁপুকুরিয়া, গন্ডোগোহালী ও গাঁওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় তিনটি কাজের দায়িত্ব পেয়ে ছিলেন সারা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তারা বিদ্যালয় তিনটির কাজ শেষ না করে পালিয়েছেন। এর প্রতিটি ওয়াসব্লক নির্মানে ব্যয় ধরা হয়ে ছিল ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা করে।
২০২৪ সালে উজালপুর, ফুলবাড়ি, মোহনপুর, ভূবন নগর, নওদাপাড়া, ঝলমলিয়া, পীরগাছা, বিড়ালদহ, ভাড়রা, কান্দ্রা কারবালা ও মীর ওসমানসহ ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ওয়াসব্লক নির্মানের দায়িত্ব পান জোবেদা কনেস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি গত ৬ মাস ধরে কাজ সম্পন্ন না করে ফেলে রেখেছেন। এর প্রতিটি কাজের নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা করে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফলতি ও দায়িত্বহীনতার কারনেই ১০ প্রতিষ্ঠানের নির্মান কাজ ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে বাঁশপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার সরকার বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ে যে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ যে বাথরুম আছে তা ব্যবহার করার মতো না। ঠিকাদার ও শিক্ষা অফিসকে একাধিকবার বাথরুমের সমস্যার বিষয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ওয়াসব্লক নির্মাণের কাজগুলি শেষ করার প্রয়োজন রয়েছে। ছোট শিশু বাচ্চারা বাধ্য হয়ে খোলা মাঠে কিংবা বিদ্যালয়ের পাশের বাড়িতে গিয়ে বাথরুমের কাজ করতে হচ্ছে।
এদিকে উজালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মনছুর রহমান বলেন, ঠিকাদার ধীরগতিতে কাজগুলি করছেন। তারা নির্মাণ কাজ শেষ করছেন না। নির্মাণ সামগ্রীগুলো বিদ্যালয়ের ভিতর অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রেখেছেন। এতে করে যেকোনো সময়ে শিশুরা দুর্ঘটনা শিকার হতে পারে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটার মকবুল হোসেন বলেন, অর্থ সংকটের কারণে কাজ সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের ভিতর পূনরায় কাজ শুর করা হবে
এ ব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, যে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের নির্মাণ কাজ ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন না করে পালিয়ে ছিলেন। তারা পুনরায় কাজ শুরু করেছেন। বাঁকি যে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিকাদার কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে তারাও আগামী সপ্তাহ হতে নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও গাফিলতিতে নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে বাথরুমগুলো নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় শিশু শিক্ষার্থীরা অনেকটায় বাধ্য হয়ে খোলাস্থানে মলমূত্র ত্যাগের কাজগুলি করছেন।
জানা গেছে, ২০২১ সালে ৩টি কাজ ও ২০২৪ অর্থ বছরে উপজেলায় আরো ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য বাথরুম (ওয়াসব্লক) নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে বাশঁপুকুরিয়া, গন্ডোগোহালী ও গাঁওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় তিনটি কাজের দায়িত্ব পেয়ে ছিলেন সারা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তারা বিদ্যালয় তিনটির কাজ শেষ না করে পালিয়েছেন। এর প্রতিটি ওয়াসব্লক নির্মানে ব্যয় ধরা হয়ে ছিল ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা করে।
২০২৪ সালে উজালপুর, ফুলবাড়ি, মোহনপুর, ভূবন নগর, নওদাপাড়া, ঝলমলিয়া, পীরগাছা, বিড়ালদহ, ভাড়রা, কান্দ্রা কারবালা ও মীর ওসমানসহ ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ওয়াসব্লক নির্মানের দায়িত্ব পান জোবেদা কনেস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি গত ৬ মাস ধরে কাজ সম্পন্ন না করে ফেলে রেখেছেন। এর প্রতিটি কাজের নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা করে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফলতি ও দায়িত্বহীনতার কারনেই ১০ প্রতিষ্ঠানের নির্মান কাজ ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে বাঁশপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার সরকার বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ে যে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ যে বাথরুম আছে তা ব্যবহার করার মতো না। ঠিকাদার ও শিক্ষা অফিসকে একাধিকবার বাথরুমের সমস্যার বিষয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ওয়াসব্লক নির্মাণের কাজগুলি শেষ করার প্রয়োজন রয়েছে। ছোট শিশু বাচ্চারা বাধ্য হয়ে খোলা মাঠে কিংবা বিদ্যালয়ের পাশের বাড়িতে গিয়ে বাথরুমের কাজ করতে হচ্ছে।
এদিকে উজালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মনছুর রহমান বলেন, ঠিকাদার ধীরগতিতে কাজগুলি করছেন। তারা নির্মাণ কাজ শেষ করছেন না। নির্মাণ সামগ্রীগুলো বিদ্যালয়ের ভিতর অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রেখেছেন। এতে করে যেকোনো সময়ে শিশুরা দুর্ঘটনা শিকার হতে পারে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটার মকবুল হোসেন বলেন, অর্থ সংকটের কারণে কাজ সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের ভিতর পূনরায় কাজ শুর করা হবে
এ ব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, যে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের নির্মাণ কাজ ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন না করে পালিয়ে ছিলেন। তারা পুনরায় কাজ শুরু করেছেন। বাঁকি যে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিকাদার কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে তারাও আগামী সপ্তাহ হতে নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।